ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাছ বেচাকেনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের আনন্দবাজারে এ ঘটনা ঘটে। তাঁদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মাইমলা হাটির শিপন (২২), জুয়েল মিয়া (৩২), মেঘা মিয়া (১৫), নীরব মিয়া (১২), মো. রাজকুমার (২৫), আকলিমা বেগম (২৫), শামীম মিয়া (৩০), আবদুল হান্নান (৬৭), বিশাল (২৩), সাইমন (২৪), খোদেজা (৮০) ও নীরব (১৩)।
স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকার মাইমলহাটির কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজারে মাছ ব্যবসা করেন। আজ সকাল ১০টার দিকে আনন্দবাজারে মাছ বেচাকেনা নিয়ে কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর বাবুল মিয়ার সঙ্গে একই মহল্লার মীর কাসিমের ছেলে সাগর মিয়ার কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে দুপুরে আনন্দবাজারে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন এক অপরের পক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় দুই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে আনন্দবাজারে ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর মাছ ব্যবসায়ী হান্নাফ মিয়ার ছেলে শামীম, শাদিল, বাবুল ও হান্নাফের ছোট ভাই জাকিরের ছেলে টিটনের সঙ্গে একই এলাকার বড় গোষ্ঠী মীর কাসিম মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া ও তাঁর পক্ষের শিপন মিয়ার মাছ বেচাকেনা নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়। দুপুরের তাঁরা কান্দিপাড়ার মাইমলহাটি এলাকায় নিজেদের বাড়িতে ফিরে দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সাগর মিয়া পক্ষের লোকজন ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। বড় গোষ্ঠীর পক্ষের গুরুতর আহত শিপনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে চেষ্টা করেও ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর বাবুল মিয়া ও বড় গোষ্ঠী মীর কাসিম মিয়ার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, সকালে আনন্দবাজারে মাছ বেচাকেনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। দুপুরে এলাকায় ফিরে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। তবে উভয় পক্ষের কেউই থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।