সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ‘১’–এর পয়েন্ট তালিকায় তলানিতে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সমান ম্যাচ খেলে কোনো জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ দলও। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকায় মাহমুদউল্লাহদের অবস্থান ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ধাপ ওপরে। কাল এই দুই দলই শারজায় প্রথম পয়েন্টের আশায় মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
শারজার ছোট বাউন্ডারিও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাহায্য করতে পারে। দলটির বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই চার-ছক্কায় রান করে অভ্যস্ত। সেদিক থেকে শারজা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য আদর্শ ভেন্যু। পুরানও ছোট বাউন্ডারির সুবিধা নিতে উন্মুখ, ‘এটা আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ভালো সুযোগ। উইকেট কেমন হবে সেটি নিশ্চিত নয়। তবে আমাদের চোখ থাকবে ছোট বাউন্ডারির দিকে। আমরা আমাদের দক্ষতা দেখাতে চাই। আমরা যদি সেটা করতে পারি তাহলে ফল আমাদের পক্ষে আসবেই।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের আবার বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ক্যারিবীয়দের জানাশোনাও যথেষ্ট। সে অভিজ্ঞতা শারজায় কাজে লাগাতে চান পুরান। এ ব্যাপারে তিনি বলছিলেন, ‘বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক সাহায্য করবে। আমিও বাংলাদেশে কিছুটা হলেও সময় পার করেছি। শুধু আমি নই, আমাদের দলে অনেকেই বিপিএল খেলেছে। ওদের সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব আমাদের। আমরা ওদের বুঝতে পারি, ওদের কাছ থেকে ভিন্ন কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হয় সেটি শিখতে পারি। আমরা জানি ওরা কী করতে পারে এবং তাদের খেলার সঙ্গে আমরা বেশ পরিচিত। এটা অবশ্যই আমাদের ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সাহায্য করবে।’
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখার ম্যাচে সুযোগ পেলে নায়ক হতে চান পুরান নিজেই। দলের প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় ব্যাটিং করে খেলতে চান বিধ্বংসী ইনিংস, ‘এখন দল আমার কাছে যা চাইবে আমি তাই করব। এখন টুর্নামেন্টে আমাদের যে অবস্থান, সেখান থেকে বের হতে হলে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দরকার। সেটা যে দায়িত্বেই হোক না কেন, দলের প্রয়োজনে আমি সেটাই করব।’