বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নামকরণের ইতিকথা

নিজস্ব প্রতিবেদক, এস এম শাহনূর – আখাউড়া ডট কম

প্রমত্তা মেঘনা, শান্তধীর তিতাস বিধৌত, চন্দন বিল ও বামন্ধার বিলের উপজেলা বাঞ্ছারামপুর। নির্ভরশীল তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায়, এক সময় স্থলভাগ থেকে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এ জনপদে প্রথম দিকে ১৯০৪ সালে অথবা ১৯১২ সালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপিত হয়। পরবর্তীকালে ১৯২০ সালে ৭টি ইউিনয়ন নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ থানা এবং ১৯৬৫ সালে ১৩টি ইউিনয়ন, ৭৪টি মৌজা ও ১২১টি গ্রাম নিয়ে গঠন করা হয় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা। এবং তা ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসাবে চুড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ রূপলাভ করে।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদের মধ্যে খোশকান্দি জামে মসজিদ, বাঞ্ছারামপুর সদর জামে মসজিদ, ধারিয়ারচর জামে মসজিদ, উজান চর কালীমন্দির, রূপসদী দক্ষিণবাজার কালীমন্দির, রূপসদী জমিদার বাড়ি (১৯১৫ সালে ভারত থেকে নকসা ও রাজমিস্ত্রী এনে জমিদার তীর্থবাসী চন্দ্র রায় ৫ একর জমির উপর বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করেন। সে সময় এ বাড়িতে তিনটি পুকুর ছিল) উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুনঃ বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের শপথবাক্য পাঠ

বাঞ্ছারামপুর নামকরণ:
জনশ্রুতি আছে, ঢাকার তৎকালীন জমিদার রূপলাল বাবুর একজন বিশ্বস্ত রায়ত বাঞ্ছারাম দাস বর্তমান উপজেলা সদরে বাস করতেন। তার আচার-ব্যবহার এবং কাজকর্মের বিশ্বস্ততা ও আনুগত্যের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তার নামে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয় বাঞ্ছারামপুর।

তথ্যসূত্র:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামকরণের ইতিকথা।। এস এম শাহনূর

লেখক: কবি, মুক্তিযুদ্ধ,লোকজ সংস্কৃতি ও ইতিহাস গবেষক।

Related Posts

About The Author

Add Comment