ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর দুই গ্রামের বাসিন্দারা চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ করে। সংঘর্ষে জড়িতরা উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া ও বড্ডপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। একটি মোটরসাইকেল ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপে থামে বিকেল সাড়ে তিনটায়।
এ আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের একশর বেশি লোক আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকায় এবং চারজনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উভয় গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে। ওই দুই গ্রামের সঙ্গে আশপাশের একাধিক গ্রামের লোকজনও এ সংঘর্ষে যুক্ত হয়। সব মিলিয়ে সংঘর্ষে কয়েক হাজার লোক জড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। অর্ধশতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ফলে আশপাশের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা সদর থেকে সেনাবাহিনীর সদস্য, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ পাঠানো হয়। যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি সামাল দেয় তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উচালিয়াপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বড্ডপাড়া গ্রামের ওপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বড্ডপাড়া গ্রামের এক ভ্যানগাড়িতে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উভয় গ্রামের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল।
সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পরিস্থিতি শান্ত করতে পারেনি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল রাজ্জাক বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে কাজ করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান দুপুর একটার দিকে বলেন, জেলা সদর থেকে যৌথ বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও ইন্দনদাতাদের আইনের আওতা আনা হবে।