ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তিন দিন ধরে নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন সিনিয়র স্টাফ নার্সরা। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণ করে জ্যেষ্ঠ অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন তাঁরা।

কর্মবিরতি চলাকালে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ডে নার্সরা উপস্থিত হননি। শুধু জরুরি বিভাগ, অস্ত্রোপচার কক্ষ ও শিশু ওয়ার্ডের স্পেশাল নিউনেটাল কেয়ার ইউনিট (স্ক্যানো) এবং স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি ওয়ার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে সীমিতসংখ্যক নার্সরা সেবা দিচ্ছেন। এতে হাসপাতালের রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

তিন দিন ধরে মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জখম নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাসিরনগর উপজেলার আতুকোড়া গ্রামের মো. সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তিন দিন ধরে কোনো চিকিৎসক ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে আসছেন না। নার্সরাও ওয়ার্ডে নেই। ডাকাডাকি করেও নার্স পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা সকাল থেকে স্টেশনে থাকেন না। সকাল থেকে চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে আছি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগের তিন তলায় গিয়ে চিকিৎসককে দেখিয়েছি।’

ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ সুলতানা বলেন, কর্মবিরতি চলছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নার্সরা কর্মবিরতি পালন করছেন। হাসপাতালে রোগীদের ভর্তির বিষয়ে জরুরি বিভাগ থেকে কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিনিয়র স্টাফরা হাসপাতাল চত্বরে তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা হাসপাতালের নিচতলার স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি ওয়ার্ডের সামনের খালি জায়গায় বসে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক সেলিনা আক্তার বলেন, ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণপূর্বক উক্ত পদগুলোয় উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও যোগ্য নার্সদের পদোন্নতির মাধ্যমে পদায়নের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।’

Related Posts

About The Author