ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় স্বামীকে শিক্ষা দিতে সরুফা আক্তার নামের এক মায়ের বিরুদ্ধে নিজের শিশুসন্তানকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা গ্রামের ইব্রাহিমপুরে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে কুন্ডা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সরুফা আক্তারের সঙ্গে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে তুষার মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সরুফা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। তার বয়স দেড় বছর। দীর্ঘদিন সংসার করার পর নানা বিষয় নিয়ে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলে সরুফা বাবার বাড়িতে চলে আসেন। কিছুদিন ধরে স্বামীকে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্বামী সাড়া দেননি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বেলা তিনটায় সরুফা তাঁর ইমো নম্বর থেকে স্বামীকে একটি ভিডিও পাঠান। ভিডিওতে দেখা যায়, সরুফা বাবার বাড়ি উপজেলার কুন্ডা গ্রামের রাস্তার ওপর নিজের শিশুসন্তানকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছেন। ভিডিওতে ওই শিশুকে মায়ের নির্যাতনে কাঁদতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে কথা বলতে সরুফা আক্তারের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এক শিশুসন্তানকে তার মা গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
শিশুটির বাবা তুষার মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার নাসিরনগর থানায় একটি অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ ও এলাকার মাতবরেরা বসে দুই পরিবারকে মিলিয়ে দেন। একটি ভুল–বোঝাবুঝিতে এমন হয়েছে। বিষয়টির সমাধান হয়েছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদের বলেন, ‘বাবার বাড়িতে জরাজীর্ণ একটি ঘরে বসবাস করেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। স্বামীকে শিক্ষা দিতে এমন করেছেন। তাঁরা নিজেরা বসে বিষয়টির সমাধান করেছেন। যেভাবে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, বিষয়টি তেমন না।’