সকালের প্রথম সেশনে মাত্র এক উইকেট পেলেও দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার শন ক্যাম্পবেলকে এলবির ফাঁদে ফেরান তখনও বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিল ক্যারিবিয়ানরা। মধ্যাহ্নবিরতির আগে ২৯ ওভারে ৮৪ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বিরতির পরই খেলায় ফিরতে শুরু করে টাইগাররা।
শেন মোজলিকে ৩৮ বলে ব্যক্তিগত ৭ রানে বোল্ড করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্বস্তি এনে দেন পেসার আবু জায়েদ। এরপরই সৌম্য অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেটকে তুলে নিলে ব্যাকফুটে চলে যায় ওইন্ডিজ।
ওপেনিংয়ে নেমে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছিলেন ব্রাথওয়েট। তাইজুল, মিরাজ আর নাঈমকে ভালোভাবে মোকাবিলা করে হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে, বিরতির পরই সৌমকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মুমিনুল হক। এতেই মনে হয় ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন তিনি। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে নাজমুল হোসেনের হাতে ধরা পড়েন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
আউট হওয়ার আগে ১২২ বলে ৪৭ রান করেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। ব্রাথওয়েটের পরে বোনারকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে নামেন চট্টগ্রাম টেস্টে অতিমানবীয় ইনিংস খেলা কাইল মেয়ার্স। গত ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মাঠে নেমেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জানান দিলেন নিজেকে। তবে এই জুটিকেও টিকতে দেননি পেসার আবু জায়েদ রাহি।
অভিষেক টেস্টে বিশ্বরেকর্ড গড়া সেই কাইল মেয়ার্স মাত্র ৫ রানে ওয়াইড স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। প্রথম ইনিংসে অল্পতেই থামিয়ে দিলেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। চট্টগ্রামের ডাবল সেঞ্চুরিয়ানের ঢাকায় প্রথম ইনিংস থামল মাত্র ৫ রানে। এতে গত টেস্টের ৪র্থ ইনিংসের রেকর্ড গড়া জুটি ভাঙল মাত্র ১২ রানে। এ নিয়ে ঝুলিতে দুটি উইকেট জমা করেছেন রাহি।
এদিকে মেয়ার্স ব্যর্থ হলেও দারুণ ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন প্রথম টেস্ট জয়ের অন্যতম নায়ক এনক্রুমাহ বোনার। ইতোমধ্যে ৪৭ বলে ১৯রান জমা করেছেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃতীয় সেশনের খেলা শুরু হয়েছে। ৫৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪৬ রান।