একটা অনিশ্চয়তা ছিল- জামাল ভূঁইয়া নেপালে অনুষ্ঠিতব্য ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন কি না। কারণ, তার ক্লাব কলকাতা মোহামেডানের আই লিগের দুটি ম্যাচ এখনো বাকি। ২১ ও ২৭ মার্চের খেলা রেখে ভারতীয় ক্লাবটি জামালকে ছাড়বে কি না তা নিয়ে ছিল দ্বিধা-সংশয়।
বাফুফে অবশ্য জামালকে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল কলকাতা মোহামেডানকে। ফিফার নিয়মেই রয়েছে, জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্টের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে হবে ক্লাবগুলোতে। সে নিয়ম মেনেই কলকাতা মোহামেডানকে চিঠি দিয়েছিল বাফুফে।
কলকাতার ক্লাবটি বাফুফেকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা ১৮ মার্চ জামালকে ছেড়ে দিচ্ছে। সুতরাং, কাঠমান্ডুতে প্রথম ম্যাচ থেকেই অধিনায়ককে পাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রশ্ন হচ্ছে, জামাল কবে আসবেন? নাকি কলকাতা থেকেই কাঠমান্ডু চলে যাবেন? এ প্রশ্নের সঠিক জবাব নেই বাফুফের কাছেও। সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘জামাল ঢাকা এসে যেতে পারেন। আবার কলকাতা থেকেও সরাসরি কাঠমান্ডু যেতে পারেন।’
তবে যেহেতু ফুটবল দলকে ভিসা নিয়ে এবার নেপাল যেতে হবে, তাই জামালের ঢাকা এসে তারপর কাঠমান্ডু যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাছাড়া জামাল ভূঁইয়া কলকাতা থাকাকালীন তার দাদী ও ফুফাতো ভাই মারা গেছেন। যে কারণে, দেশে এসে দুই দিন থেকে আবার কাঠমান্ডু যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে জামাল ভূঁইয়া কাঠমান্ডুতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ২২ নভেম্বর। কারণ, ১৮ মার্চের পর নেপালগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট আছে ২২ মার্চ।