নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ সাইফুল আলম – আখাউড়া ডট কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পাঁচটিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তবে কম যাননি বিদ্রোহী প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েও ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়লাভ এলাকায় নতুন চমক এনেছেন। শুধুমাত্র একজন হারিয়েছেন তার জামানত।
সর্বশেষ ফলাফলের পর জানা যায়, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েও ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়লাভ এর খবর। এদের মধ্যে চারজন হলেন বিদ্রোহী হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা। অন্যদিকে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চতুর্থ ধাপে বিজয়নগর উপজেলায় তফসিল ঘোষণার পর ১০টি ইউনিয়নে প্রার্থী মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ১৭ জনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে চারজনই চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন।
বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন-চম্পকনগর ইউনিয়নে দুটি পাতা প্রতীকে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ইছাপুরা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে জিয়াউল হক বকুল, পত্তন ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে তাজুল ইসলাম ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে জামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুনঃ আখাউড়ার সকল নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আইন মন্ত্রী
নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করাসহ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। তারপরও তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় জনগণ তা গ্রহণ করেননি। সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় আমি চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছি।’
এদিকে, উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। ফলাফলে সাত প্রার্থীর মধ্যে ১৪২৬ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এফতেহারুল ইসলাম। এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজি সাইয়েদুল ইসলাম চশমা প্রতীকে সাত হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলম ঘোড়া প্রতীকে চার হাজার ১৫৪ ভোট পেয়েছেন। ওই ইউনিয়নে মোট ভোট পড়েছে ১৯ হাজার ১৯৫টি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রাপ্ত ভোটের আটভাগের একভাগ কোনো প্রার্থী ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। সে অনুযায়ী ২৩৯৯ ভোটের কম ভোট পাওয়া বুধন্তী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।