নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ সাইফুল আলম – আখাউড়া ডট কম
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে ট্রেন ঢুকার ঠিক আগ মুহূর্তে চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দিত তিতাস ব্রিজ বা কোড্ডা ব্রিজ। একসাথে ৩টি ব্রিজ দেখতে সত্যিই দৃষ্টিনন্দন। বিকেল বেলা এই ব্রিজের আশে পাশের অবস্থা দেখলেই বুঝা যায় এই স্থানের বিশালতা। আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর ও সদর উপজেলার আশে পাশে থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ ঘুরতে আসেন এই তিতাস ব্রিজের অববাহিকায়।
একই স্থানে একসাথে রেল সেতু ২টি ও সড়ক সেতু ১টি এক অনন্য চিত্র স্থাপন করেছে। লাল ও সাদা সেতুর মিলনমেলায় তিতাস নদীর পূর্ব পাড়। এই সেতুর একটু সামনে দিয়ে বাইপাস করে রেললাইন চলে গেছে অদূর আজমপুর রেল স্টেশনের দিকে। আর একদিকে রেললাইন বাক নিয়ে চলে গেছে আখাউড়া জংশনে। অন্যদিকে সড়ক পথটি চলে গেছে সোজা আখাউড়া চেক পোস্ট হয়ে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়।
ত্রিমুখী রাস্তার মিলনকেন্দ্র এখানে। বর্ষার পর আরও ভালো রুপ নেয় মিনি কক্সবাজার হিসেবে। আর তাইতো মানুষ আসেন এখানে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। একদিকে ৩টি ব্রিজ, ট্রেন যাবার দৃশ্য এবং দৃষ্টি জুড়ে জলরাশি। প্রকৃতির এই বিশালতা আর স্থাপত্য শৈলীর মিলন কেন্দ্রে মানুষ আসে একটু অবসর সময় কাটানোর জন্য।
আখাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন। ১৮৯২ সালে ইংল্যান্ডে গঠিত আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি এদেশে রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব নেয়। ১৮৯৫ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা ১৫০ কিমি মিটারগেজ লাইন এবং লাকসাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৬৯ কিমি রেললাইন জনসাধারণের জন্য খোলা হয়। ১৮৯৬ সালে কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ স্থাপন করা হয়। আর তারপর থেকে এই তিতাস ব্রিজটি অনন্য ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে আছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নাম অনুসারে জেলার বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীর উপর Y আকৃতির ৭৭১ মিটার দীর্ঘ “শেখ হাসিনা তিতাস সেতু” নির্মাণ করা হয়েছে। তিতাস নদী উপর এই সেতু সত্যি দৃষ্টি নন্দিত হয়েছে সবার কাছে।