ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে সীমিত পরিসরে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিকেল থেকে বিশেষ বিবেচনায় যাত্রী পারাপার শুরু হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। পরদিন বুধবার সকাল থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল আসতে শুরু করে।
একপর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। পানির প্রবল স্রোতে আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাওয়ার আখাউড়া-আগরতলা সড়কের আখাউড়া উপজেলার আবদুল্লাপুর এলাকায় থাকা অস্থায়ী বেইলি সেতু ভেঙে যায়। এতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট প্লাবিত হওয়ায় গত বুধবার সকাল ১০টার পর ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রমসহ যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এখনো বেইলি সেতু মেরামত না করায় আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও আজ থেকে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হয়।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, চার দিন পর রোববার বিকেল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে যাঁরা ভারতে কিংবা বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন এবং যাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এমন যাত্রীদের বিশেষ বিবেচনায় পারাপারের সুযোগ দেওয়া হয়। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সাতজন যাত্রী ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম বলেন, ‘ভারতে আটকে পড়া যেসব বাংলাদেশি যাত্রীর ভারতীয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কিংবা আজকেই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার শেষ দিন, শুধু তাঁদের বিশেষ বিবেচনায় ম্যানুয়ালি পারাপারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে ভিসা জটিলায় তাঁরা নানা সমস্যা ও দুর্ভোগের মধ্যে পড়বেন। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাতজন যাত্রী বাংলাদেশে এসেছেন।