ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ গলে জলোচ্ছ্বাসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৭০ জনের বেশি মানুষ। সবাই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। তারপরও নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) টানা পঞ্চম দিনের মতো নিখোঁজদের উদ্ধারে উত্তরাখণ্ডের সুরঙ্গের ভেতরে উদ্ধার অভিযান শুরু করে উদ্ধারকারীদল। হিমবাহ ধসের ঘটনায় ওই সুরঙ্গে ৩৫ জন নির্মাণ শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা সবাই ঋষিগঙ্গার তপোবন বিষ্ণুগাদ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে নিয়োজিত ছিলেন।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ধসের কারণে বিদ্যুৎপ্রকল্পের দুটি সুরঙ্গ কাদা ও পাথর দিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। একটি থেকে বেশ কয়েকজন শ্রমিককে উদ্ধার করা গেলেও অন্যটি থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে বের করা সম্ভব হয় নি। আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন তারা।
‘টেকনিক্যাল টিম ভেতরে অবস্থান করছে। তারা সার্বিক বিষয় তদারকির পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দিন রাত কাজ করছি আমরা। উদ্ধারকাজ দ্রুত শেষ করতে অনেক যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সবকিছু স্বাভাবিক করতে পারবো।’
গেল রোববার নন্দাদেবী হিমবাহে ধস নামার কারণেই উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় আকস্মিক জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা দেখা দেয়। ওই ঘটনায় যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই স্থানীয় বাসিন্দা। তবে দিন যত যাচ্ছে তাদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।