শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ পর্যালোচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পুনরায় খুলে দেওয়ার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনা করা হবে এবং এরপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারী এবং তারপর শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। এই বন্ধের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানো হয়। আগামী ২৮ ফেরুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ অতিসম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠা হলে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উত্পাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণা কাজে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা পাওয়া যাবে। এতে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। ভ্যাকসিন উত্পাদন প্রয়োগ ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরো যুগোপযোগী হবে। এসব কারণেই আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটের (আইভিআই) চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদন আরো সহজতর হবে। ফলে দেশে স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আর বাংলাদেশে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগ্যতা অর্জনের পথও সুগম হবে, যা বিদেশে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে একটা আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটের চুক্তি হয়েছিল। সেখানে আমরা স্বাক্ষর করি। কিন্তু এটার পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য আমাদের কেবিনেটের অনুমোদনের দরকার, সেজন্যই এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যালগুলোর উত্পাদনের মান মোটামুটি মানসম্মত, যা বিশ্বে প্রমাণিত। সুতরাং, এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এগুলো অর্জন করতে পারব। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আরো বেশি প্রয়োজন বলে অনুভূত হয়েছে।’

Source: www.jonopotro.com

Related Posts

About The Author

Add Comment