মাদক-কাণ্ড মামলায় জামিন পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। ২১ দিন ধরে আর্থার রোড জেলে বন্দী ছিলেন তিনি। আজ বিকেলে বোম্বে হাইকোর্ট আরিয়ানের জামিনের আদেশ ঘোষণা করলেন। এখন জামিনসংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই ‘মান্নত’-এ ফিরতে পারবেন এই তারকাপুত্র।
এই মামলার অন্য দুই মূল অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট আর মুনমুন ধামেচাকেও আজ জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আরিয়ানের আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানান যে জামিনসংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে বাড়ি ফিরতে পারবেন আরিয়ান, আরবাজ আর মুনমুন।
আজকের দিন আরিয়ান খানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, হাইকোর্ট দীপাবলির ছুটির জন্য বন্ধ থাকবে। তাই আজ জামিন না পেলে আরিয়ানকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আর্থার রোড জেলেই থাকতে হতো।
বোম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের মাদক-কাণ্ড মামলার শুনানির আজ তৃতীয় দিন ছিল। ২৬ অক্টোবর থেকে এই মামলার শুনানি চলছে বোম্বে হাইকোর্টে। দুই দিন ধরে আরিয়ানের আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতের কাছে তাঁর মক্কেলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট আর মুনমুন ধামেচার আইনজীবীরাও তাঁদের মক্কেলদের প্রমাণ, সাক্ষ্য আদালতের সামনে পেশ করেন।
মুকুল রোহতগি আদালতের কাছে শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন যে আরিয়ানের গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ বেআইনি। আজ সবার নজর ছিল যে এনসিবি তাদের ঝুলি থেকে নতুন কী তথ্যপ্রমাণ বের করে।
এনসিবির আইনজীবীরা প্রথমেই আদালতকে জানিয়েছেন যে আরিয়ান দুই বছর ধরে বড় মাত্রায় মাদক সেবন করছেন। আর বিদেশি মাদক সরবরাহকারীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আছে। এমনকি শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িকভাবে মাদক আদান-প্রদানে শামিল থাকার অভিযোগ এনে এনসিবির আইনজীবীরা ২৮এ ধারা প্রয়োগ করেন। তাঁদের হাতে বড় প্রমাণ হিসেবে ছিল আরিয়ান আর অনন্যা পান্ডের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও। এই চ্যাটগুলোতে গাঁজার কথা উল্লেখ আছে।
এদিকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সাইল জানিয়েছিলেন যে শাহরুখের ব্যবস্থাপক পূজা দদলানি সাক্ষীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের প্রভাবিত করছেন। যদিও আরিয়ান তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন যে তাঁরা কোনো সাক্ষীকে প্রভাবিত করেননি। আর তাঁর এই মামলার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। অন্যান্যবারের মতো এবারও এনসিবি আদালতকে জানিয়েছেন যে আরিয়ান প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলে। তাই আরিয়ান জেল থেকে ছাড়া পেলে এই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট হতে পারে।