আখাউড়া ডেস্ক: গত বুধবার আটক চার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রাহ্মণপাড়ার আশাবাড়ী সীমান্ত থেকে তাদেরকে আহত অবস্থায় ধরে নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এরপর গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
তাদেরকে উদ্ধারের জন্যে ত্রিপুরারাজ্যের আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি’র ১২ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে বিএসএফ’র ১৯৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল চিত্র পাল নেতৃত্ব দেন। সেই রাতেই বিজিবি কর্তৃপক্ষ ব্রাক্ষণবাড়িয়া পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মনিরুজ্জামান (পিপিএম) এর কাছে ডিবি পুলিশের ৪ সদস্যকে তুলে দেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তে রাত ১টায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান (পিপিএম) ফেরত আহত ডিবি পুলিশ সদস্যদের ছবি না তুলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের দুই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমঙ্গীর হোসেন ও মো. সবুজ মিয়া এবং দুই কনস্টেবল মো.সেলিম মিয়া ও তাপস পাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে মাদক অভিযানে যায়। এ সময় তারা চোরাকারবারীদের পিছু ধাওয়া করে সীমান্তের ওপার সিপাহীজলা জেলার বক্সনগরের রহিমপুর এলাকায় চলে যায়। এ সময় দু’দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবি পুলিশের সদস্যরা আহত হয়।
আটকের খবর পেয়ে সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে আখাউড়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের পর রাত ১২টা ৫০ মিনিটে তাদেরকে বিজিবি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ডিবির ৪ সদস্যদের মধ্যে দুইজন এএসআই আলঙ্গীর হোসেন ও মো. সবুজের মাথায় রক্তাক্ত ব্যান্ডেজ কৃত ছিল। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষত চিহৃ রয়েছে। তারা ঠিক ভাবে সোঁজা হয়ে হাঁটতে পারছিল না। অপর দিকে কনস্টেবলদেরও খুব দুর্বল দেখাচ্ছিল। মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে।