ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরবচ্চ নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, এবারের ডাকসু নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের জন্য আটটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক নিরাপত্তার পাশাপাশি পুলিশের ফুট প্যাট্রোল ও মোবাইল প্যাট্রোল টিম নিয়োজিত থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২ হাজার ৯৬ জন পুলিশ, ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম, বিশেষায়িত টিম, সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ প্রস্তুত থাকছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আরো জানান, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ব্যতীত, ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাত ৮ টা থেকে ১১ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংলগ্ন এলাকায় সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ থাকবে। ডাকসু নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাইবার বুলিংসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো অপপ্রচার রোধ করতে কাজ করছে ডিএমপি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মো. শওকত আলীসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বহুল আলোচিত ডাকসুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১ সপ্তাহ ধরে পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আশা করছি বড় কোনো ঘটনা ঘটবে না। ১০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু থাকবে। প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হবে। গত ১ মাস ধরে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি জানান, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি চেকপোস্ট চালু আছে, কেন্দ্র কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, মোবাইল পেট্রোল, ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত টিম, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, ডিবি (সাদা পোশাকে), সিসিটিভি মনিটরিং সেল, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স থাকবে। বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন থেকে ইউনিফর্মধারী ১ হাজার ৭ শত ৭১ জন নিয়োজিত আছেন, আগামীকাল তা বেড়ে হবে ২ হাজার ৯৬ জন। এর বাইরে সাদা পোশাকে ডিবি, র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা থাকবেন।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটার ও অন্যান্য যে কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন। যদি অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে তাহলে তাকে যেন পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ছোট ঘটনা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেন অবহিত করা হয়। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা রাখছি। জাল আইডি কার্ড বানানো বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া চলমান রয়েছে। সাইবার বুলিং বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অত্যাধুনিক যুগ পার করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক শক্তিশালী যে বিকৃত ঘটনা আসছে৷ আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।

Related Posts

About The Author