কিশোরগঞ্জে ছাত্রদল ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ থেমে থেমে বেলা ২টা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ হরতালের দিন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার ছবিতে অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও সদর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী এবং জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহরের পুরানথানা ও একরামপুর এলাকায় রাস্তায় আগুন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে কিছু দোকান-পাটে হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পরে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিলে বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে অনবরত পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগানের গুলি ছোঁড়ে।
ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও দুজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন। অপরদিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া দাবি করেছেন, তাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।