“বিতর্ক মানুষকে যুক্তিবাদী করে তোলে। যুক্তি দিয়ে কথা বললে মানুষ এগিয়ে যায়, সৃজনশীল হয়ে ওঠে। একজন বিতার্কিকই যুক্তি দিয়ে সত্য বলে দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন। মেধাকে শাণিত করতে হলে যুক্তির মেলায় জড়ো হতে হবে। এ জন্য বিতর্কের বিকল্প নেই। কারণ, বিতর্ক সমাধানের পথ দেখায়।” আজ সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত পুষ্টি জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসবে বিতার্কিক, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।
‘যোগ দাও যুক্তির মেলায় ’ প্রতিপাদ্যে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে সকাল পৌনে নয়টায় বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাম নিবন্ধন করে, অংশ নেয় ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ‘৪৫ বছর আগের স্মৃতি মনে পড়ছে। তখন তোমাদের মতো বিতর্ক করতাম। স্কুল পর্যায়ে আরও বিতর্ক হলে শিক্ষার্থীরা আরও জানতে পারবে এবং নিজেকে শাণিত করতে পারবে। বিতর্ক আমাদের গড়ে উঠতে সাহায্য করে। বিতর্কচর্চায় মেধা বাড়ে। এতে আমরা ভালো মানুষ ও জাতি পাব। যুক্তি দিয়ে সুন্দর করে কথা বলতে শেখায় বিতর্ক। বিতর্ক মানুষকে যৌক্তিক মানুষ হতে শেখায়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুক্তির বিকল্প নেই।’
উদ্বোধনী পর্বে অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। প্রথম আলো বন্ধুসভা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য সবুজ মোল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন।
মাদকের কুফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের বোঝান ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, মাদক কে ‘না’ বলার শিক্ষা নিতে হবে। বিতার্কিকেরাই মাদকের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে জনমত গঠন করতে পারেন।
এরপর সনাতনী বিতর্কের ওপর কর্মশালা হয়। দুপুরে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে বিতর্ক কুইজ হয়। পরে বারোয়ারি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে সমাপনী পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। পরে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ট্রফি, মেডেল, গেঞ্জি ও সনদ দেবেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এ ছাড়া কুইজ ও বারোয়ারি বিতর্কে সেরাদেরও সনদ দেওয়া হবে।
পুরো উৎসবে সহযোগিতা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যরা এবং অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। ১৪ জুলাই পুষ্টির পৃষ্ঠপোষকতা এ স্কুল বিতর্ক উৎসব শুরু হয়। দেশের ৩৯টি অঞ্চলে এ উৎসব হচ্ছে। আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ী ১১ জন ঢাকায় জাতীয় পর্বে অংশ নেবে। প্রথম আলো বন্ধুসভার সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতার প্রচার সহযোগী নাগরিক টিভি।