জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখার প্রতিবাদে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল।
গতকাল সোমবার (০৬ এপ্রিল) রাতে দলের পক্ষে ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গল (০৭ এপ্রিল) ও বুধবার (০৮ এপ্রিল) হরতাল পালনে দেশবাসীকে আহ্বান জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হওয়াকে ‘ষড়যন্ত্র’ উল্লেখ করে সর্বাত্মক হরতাল সফল করতে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, চাকরিজীবী, সাংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, ব্যাংক-বিমার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-ছাত্র, আইনজীবীসহ সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল জামায়াতের ডাকা হরতাল সমর্থনে সিলেট এবং দিনাজপুরে ঝটিকা মিছিল বের করেছে দলের নেতাকর্মীরা।
দিনাজপুর প্রতনিধি জানান, সোমবার (০৬ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের রাণীরবন্দর এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এসময় তারা প্রায় ৮টি যানবাহন ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ট্রাকের দুইজন সহকারী চালক (হেলপার) ও একজন চালক আহত হয়েছেন।
গত রাত ৮টার দিকে এসএমপি সদর দফতর ও কুমারপাড়া গ্রামার স্কুলের পাশে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
রাতে মোট চারটি মোটরসাইকেলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করে। এসময় তারা রাস্তায় আগুন জ্বালায়, ৩ থেকে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং কুমারপাড়া পয়েন্টে একটি মাইক্রোবাস ও দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা ভাঙচুর করে। পুলিশ গুলি চালালে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা পালিয়ে যায়।
এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নতুন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। ঢাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।