আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে আগরতলা রেলস্টেশন এলাকায় যৌথভাবে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগরতলায় পৌঁছান। এ সময় তাঁর সঙ্গে যান বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্প পরিচালক ও পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম।
ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী রতন ভৌমিক বাংলাদেশের রেলমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এসে সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘ত্রিপুরার মানুষের জন্য আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। আজ আগরতলা থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন দিল্লির পথে চলাচল শুরু করল। এর ফলে ত্রিপুরার মানুষের সাত দশকের অপেক্ষার অবসান হলো। একই সঙ্গে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথেরও ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দুই দেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই লাভবান হবে।’ বাংলাদেশ অংশের আখাউড়ায় শিগগিরই কাজ শুরু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আখাউড়া অংশে জরিপ ও মাটির পরীক্ষা শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণও শিগগিরই শুরু হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে ভারতের অর্থে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে আখাউড়া অংশে ১০ কিলোমিটার ও আগরতলা অংশে ৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হচ্ছে। আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে যুক্ত হবে দুই দেশের রেলপথ। আসবে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পর্যন্ত।
রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের রেলের সঙ্গে এই রেললাইন সংযুক্ত হবে। এর ফলে দুই দেশের বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। এই রেললাইন চালু হলে আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে ৩৫০ কিলোমিটার হবে।
(-সংগৃহীত-)