বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুত সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তা সহ মোট ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে জেলা নয়টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কর্মচারীরা। এই কারণে জেলার সাড়ে সাত লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, তাঁদের দাবি আদায় না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু হবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের চাকরিচ্যুত দুই কর্মকর্তা হলেন জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক মো. মকবুল হোসেন ও নবীনগর উপজেলার উপমহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান। অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁরা পল্লী বিদ্যুত খাতকে অস্থিতিশীল করে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অবজ্ঞা করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির ঘাটুরা কার্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়ো হন। তাঁরা চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল, অভিন্ন সার্ভিস কোড চালু এবং অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিত করার দাবিতে বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়নি, এবং সমিতির কার্যালয়ে কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেন।
এদিকে, দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ইউএনও জানান, তাঁরা বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের চাকরি পুনর্বহালের দাবি না হলে তাঁরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির আওতায় ৭৫০ জন কর্মরত আছেন, এবং দেশে পল্লী বিদ্যুত সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন।
এভাবে, বিদ্যুৎ সরবরাহের এই অচলাবস্থা এলাকার জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, এবং আশাকরি দ্রুত সমাধান হবে।