স্লোগানে স্লোগানে সকাল থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম মুখরিত। বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের নিয়ে সমর্থকদের তুমুল উৎসাহ ছিল দিনভর। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা নির্বাচনের সময় যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে উৎসাহ উদ্দীপনা। তবে নির্বাচনের ফল অনেকটা অনুমিতই ছিল। বিদায়ী বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান সহ তার পরিচালনা পর্ষদে থাকা ২৫ জনের ১৯ জনই পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক ক্রিকেটার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি—এই শ্রেণিতে দুইবারের পরিচালক খালেদ মাহমু্দের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের সাবেক ম্যানেজার ও বর্তমানে বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন। শেষ পর্যন্ত মাহমুদের কাছে ৩৭-৩ ভোটে হেরেছেন নাজমুল আবেদীন।
শ্রেণি-১ এ নির্বাচন হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। সেখানে একটি পদের জন্য বিসিবি পরিচালক সাইফুল আলমের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ। কিন্তু প্রথম নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর হলো না সাবেক অধিনায়কের। খালেদ মাসুদ ৭-২ ব্যবধানে হেরেছেন সাইফুলের কাছে।
নির্বাচনে হারলেও ক্রিকেটের উন্নয়নে বোর্ডের বাইরে থেকেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন মাসুদ, ‘কাউন্সিলররা তাকে (সাইফুল) বেশি যোগ্য মনে করেছেন। তাই তাকে ভোট দিয়েছেন। আশা করি তার মাধ্যমে রাজশাহী ও বাংলাদেশের ক্রিকেট উপকৃত হবে। আমি আমার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম। কাউন্সিলররা হয়তো তাকে বেশি বিশ্বাস করেছে, এ জন্য ভোট দিয়েছে। ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলাম, আরও বড় পরিধিতে কাজ করব—এই চিন্তা করছিলাম। সেই সুযোগটা হয়তো হয় নাই। তবে আমি সব সময় ক্রিকেটের সঙ্গে আছি।’
একই শ্রেণির কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি আশফাকুল ইসলাম সরে যাওয়ায় ঢাকা বিভাগের নির্বাচন অনেকটাই এক পেশে হয়ে যায়। মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নাঈমুর রহমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার তানভীর আহমেদ কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া শ্রেণি-১ থেকে ৭ জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন—চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আকরাম খান, আ জ ম নাসির উদ্দিন, সিলেট থেকে শফিউল আলম চৌধুরী, খুলনার শেখ সোহেল, কাজী ইনাম ও বরিশালের আলমগীর খান ও রংপুর থেকে আনোয়ারুল ইসলাম।
শ্রেণি-২ এর ক্লাব কোটা থেকে ১২ জন পরিচালকের পদে নির্বাচন করেছেন ১৫ জন প্রার্থী। সেখান থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান, গাজী গোলাম মুর্তজা, নজিব আহমেদ, মাহবুব আনাম, ওবেদ রশীদ নিযাম, ইসমাইল হায়দার, এনায়েত হোসেন, ফাহিম সিনহা, ইফতেখার রহমান, মনজুর কাদের, মনজুর আলম ও সালাউদ্দিন চৌধুরী। আব্দুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম ভোটের লড়াইয়ে হেরে গেছেন।
এছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মনোনীত হয়ে আসছেন জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম।
ক্রীড়া প্রতিবেদক; ঢাকা