নির্বাচন কমিশনে ধাক্কাধাক্কি-কিলঘুষির ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য মামলা করে রুমিন ফারহানাকে আইনের হাতে সোপর্দ করার দাবি জানিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা কার্যালয়ে রুমিন ফারহানার মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন এনসিপির নেতা।
গতকাল সোমবার রাতে টেলিভিশনের একটি টক শোতে বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব এনসিপির নেতাদের টাকা দিয়ে নিয়োগ করেছেন। রুমিন ফারহানার এই অভিযোগকে মিথ্যাচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে এনসিপি।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুব একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বিএনপির প্রার্থী খালেদ হোসেন এনসিপির নেতাদের টাকা দিয়ে নিয়োগ করেছেন—রুমিন ফারহানার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক, অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার কৌশল হিসেবে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা, বুধন্তি ও হরষপুর ইউনিয়নকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়টি ২৪ আগস্ট ইসির শুনানিতে এক নম্বর সিরিয়ালে রাখা হয়। শুনানির সময় আমি বক্তব্য দিতে গেলে রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর তাঁর লোকজন আমাকে লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন। ঘটনাটি নির্বাচন কমিশনের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে আছে। আমি আবার ডায়াসের দিকে এগিয়ে গিয়ে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কর্তিত অংশের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে, যেখানে আমাকে আক্রমণকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসে হবে। কিন্তু যেখানে একজন সাধারণ মানুষ শুনানিতে অংশ নিতে পারেন না, সেখানে বাংলাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলো এবং ভোটার ও প্রার্থীরা নিরাপদ নয়, এটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য জিহান মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান, যুগ্ম সমন্বয়ক খায়রুল ইসলাম, আখাউড়ার প্রধান সমন্বয়কারী ইয়াকুব আলী, সদরের প্রধান সমন্বয়কারী আক্কাস মীর প্রমুখ।