জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচনে অমর্ত্য রায়কে অংশ নিতে অনুমতি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে রুলসহ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে অমর্ত্যর প্রার্থিতা বাতিল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
জাকসু নির্বাচন ১১ সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একাংশের প্যানেল সম্প্রীতির ঐক্য থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হন অমর্ত্য।
অমর্ত্যর প্রার্থিতা বাতিল বিষয়ে ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭–১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী অমর্ত্য জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪ ও ৮ ধারা মোতাবেক ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত। তাই ভোটার ও প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করা হলো।
এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ও সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে অমর্ত্য গতকাল সোমবার রিট করেন। আজ রিটের ওপর শুনানি হয়।
আদালতে অমর্ত্যর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন।
পরে আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, অমর্ত্যকে নির্বাচনে অংশ নিতে অনুমতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। ফলে অমর্ত্যর নির্বাচনে অংশ নিতে আপাতত আইনি কোনো বাধা নেই।