আফগানিস্তান দলের অধিনায়কত্ব যেন মিউজিক্যাল চেয়ার। কারণে-অকারণে এই চেয়ারে ব্যক্তিবদল হতেই থাকে। আজ একজন, তো কাল দেখা যায় আরেক অধিনায়ক।
২০১৯ বিশ্বকাপের আগেও সব ফরম্যাটের অধিনায়ক ছিলেন আসগর আফগান। বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে তাকে সরিয়ে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা হয় গুলবাদিন নাঈবকে। টুর্নামেন্টে সব কটি ম্যাচ হারের দায়ে সরেও যেতে হয় তাকে।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে অনেক তথ্য। মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খানের মত সিনিয়র ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যেই বোর্ডের ‘অধিনায়ক-বদল’ মানসিকতার সমালোচনা করেছিলেন তখন।
এরপর আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ওয়ানডে আর টেস্ট দলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয় আগে থেকেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক থাকা রশিদ খানকে। কিন্তু এখানেই থামেনি।
বোর্ডের পট পরিবর্তনের সাথে সাথে আসগর আফগানকে আবারও সব ফরমেটের অধিনায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। সেই সিদ্ধান্তও বেশিদিন টিকল না।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ ড্র করার পর ফের আসঘর আফগানকে সরিয়ে দেয়া হয়। টেস্ট আর ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা হয় হাশমতউল্লাহ শহিদিকে।
কিন্তু টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদটা খালিই রয়ে গেছে। এই ফরমেটে সহ-অধিনায়ক হিসেবে আছেন রশিদ খান। পদাধিকার বলে তারই এখন অধিনায়ক হওয়ার কথা। কিন্তু রশিদ নিজে ওই মিউজিক্যাল চেয়ারে আর বসতে রাজি নন।
২২ বছর বয়সী এই লেগস্পিনার ‘ক্রিকইনফো’র সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার, খেলোয়াড় হিসেবেই আমি ভালো আছি। সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে আমি ঠিক আছি। যখন অধিনায়কের দরকার পড়ছে, আমি সাহায্য করতে পারছি। আমার জন্য ওই পদ থেকে দূরে থাকাই ভালো।’
রশিদ যোগ করেন, ‘আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবেই দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। একজন অধিনায়ক হওয়ার কথা ভাবার চেয়ে দলে আমার পারফরম্যান্সটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এমন সময়ে অধিনায়ক হলে নিজের পারফরম্যান্সে বাড়তি চাপ তৈরি হতে পারে এই ভয় রশিদের মনে, ‘আমার ভয় হয় এটা করলে (অধিনায়কত্ব) পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবেই খুশি। বোর্ড এবং নির্বাচক কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তাতে পূর্ণ সমর্থন দেব।’ খবর জাগো নিউজ।