জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনিসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ প্রত্যাশা করি, যেখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ মুখ্য হয়ে উঠবে। আমরা একেকজন একেক ধর্মের হতে পারি, আমরা আমাদের নিজস্ব ধর্মের বিধিবিধান অনুযায়ী আমাদের ধর্মীয় রীতি মেনে চলব এটা যেমন সত্য, তেমনি প্রত্যেক ধর্মের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
আজ সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের চৌধুরীগছ সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে সাংবাদিকদের সারজিস আলম এসব কথা বলেন। তিনি উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী জায়গায় দেখতে চাইলে দেশ–বিদেশে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যর্থ করার আহ্বান জানান সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘এই বন্ডিং যত স্ট্রং হবে, আমরা মনে করি বাংলাদেশ তত নিরাপদভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। সে লক্ষ্যেই আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী যাঁরা ভাই–বোনেরা রয়েছেন, তাঁদের সর্ববৃহৎ এটা একটা উৎসব, আমরা তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি।’
সহযোগিতার দিক থেকে ছোট পরিসরে হলেও এনসিপির পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন বলে জানান এনসিপির এই নেতা। সারজিসের ভাষ্য, উদার মানসিকতা রেখে কাজ করতে পারলে শুধু পঞ্চগড় নয়, বাংলাদেশ সামনের দিকে প্রত্যাশার চেয়েও অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার রয়েছে, কিন্তু একটা স্থায়ী মন্দির নেই, একটা কাঁচা ঘরে রয়েছে সেটি। মানুষের ভেতরে মনের দূরত্ব বা সম্পর্কের দূরত্ব তখনই তৈরি হয়, যখন একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কথা বলি বা কিছু মানুষের কথা বলি, কিন্তু তাঁদের যেটা প্রাপ্য, সেটা পায় না। আবার তখন হয়, যখন কারও প্রাপ্যের চেয়ে অনেক বেশি পেয়ে যায়। যখনই বৈষম্য তৈরি হবে, তখন সম্পর্কের মধ্যে একটা ছেদ আসবে। আমরা চাই এই সম্পর্কের ছেদটা যেন না থাকে।’.