সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে একই ঘর থেকে শিশু ও মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশীদের দেওয়া তথ্যমতে, মায়ের ফাঁস লাগানো লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ও শিশুটির লাশ ওয়ার্ডরোবের ভেতর পাওয়া যায়। ওই ঘর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আরেক সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া মায়ের নাম বীণা বেগম (২৫)। তাঁর মৃত শিশুর নাম সানি (২)। বীণা বেগমের স্বামী মিলন মিয়া মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। সৈয়দটুলায় বীণার বাবার বাড়ি।
প্রতিবেশী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাকিব মিয়ার ভাষ্য, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে বীণার ফোনে কথা হয়। এ সময় তাঁকে উত্তেজিত দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা বলার পরই বীণা বড় মেয়ে সামিরা বেগমকে (৯) নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই ঘরে তাঁর আরেক সন্তান সানি ছিল।
বীণার বাবা মহরম আলী ও প্রতিবেশীদের ভাষ্য, ঘর থেকে মারধর, চিৎকার ও কান্নার শব্দ শোনা যায়। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বীণার বাবা ও প্রতিবেশীরা দেখেন, বীণার ফাঁস লাগানো লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। সানির লাশ ঘরের ওয়ার্ডরোবের ভেতর। মেয়ে সামিরা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছে।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরে চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বীণাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর ভাষ্য, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই বীণা মারা যান। তাঁর গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। বীণার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সামিরাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল জব্বার বলেন, ‘কেন এমন ঘটনা ঘটেছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফের ভাষ্য, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।