ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর, ষাটবাড়িয়া ও হরিপুর পাশাপাশি এ তিনটি গ্রামে কোনো রাস্তা নেই। বর্ষা মৌসুমে পুরো এলাকা নিমজ্জিত থাকে। গ্রামবাসীদের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। শুকনা মৌসুম যখন আসে, তখন পায়ে হাঁটা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না এলাকাবাসীর।
কয়েক যুগ ধরে এভাবেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সরাইল উপজেলার এ তিনটি গ্রামের জনগনের। সরকারের সুদৃষ্টি ও রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা কোনোটিই পড়েনি এ গ্রামবাসীদের উপর।
তাই গ্রামবাসীরা এবার নিজেরাই উদ্যোগ নিলেন রাস্তা তৈরির। হাওরের বুক চিরে বানিয়ে ফেললেন আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়ক। সড়কটি সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর থেকে ষাটবাড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি উদ্বোধন করা হয়েছে। পাকশিমুল ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন তিন গ্রামের জনগনদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তাটির উদ্বোধন করেন। রাস্তাটির উদ্বোধন উপলক্ষে রাস্তাটিকে সাজানো হয়েছে।
এলাকার লোকজন বলেন, গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়েই পরমানন্দপুর ও ষাটবাড়িয়া গ্রামের মধ্যকার হাওরে মাটির রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রথমে রাস্তার জন্য ওই দুই গ্রামের ৪৭ কৃষক তাঁদের জমির একাংশ দান করেন। এরপর মাটি ভরাটের জন্য ৮ লাখ টাকা চাঁদা তোলেন গ্রামবাসী। তাঁরা বলেন, ১৫ দিনে খননযন্ত্রের পাশাপাশি গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তিন মিটার প্রস্থের রাস্তাটি নির্মাণ করেন।
আরও পড়ুনঃ পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব
এ বিষয়ে সরাইলের উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী নিলুফা ইয়াসমিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের নিমজ্জিত রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা তাঁদেরও রয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো