থারাঙ্গার দুঃখ ৯৯, বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক পরাজয়

রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে যেন জয় লেখা নেই বাংলাদেশ লিজেন্ডসের কপালে। প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে যথাক্রমে ১০ ও ৭ উইকেটে হেরেছিল মোহাম্মদ রফিকের দল। বুধবার তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কা লিজেন্ডসের কাছে তারা হেরেছে ৪২ রানের ব্যবধানে, করেছে পরাজয়ের হ্যাটট্রিক।

রায়পুরে বুধবার রাতের ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে সহজেই হারালেও একটি আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে লঙ্কান লিজেন্ডসের। মাত্র ১ রানের জন্য টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরিটি করতে পারেননি উপুল থারাঙ্গা। তার ৯৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৩৮ রানে।

টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ৫৪ রান এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন ও মেহরাব হোসেন অপি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ২৭ রান করা অপিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তিলকারাত্নে দিলশান।

এরপর আর সে অর্থে তেমন কোনো জুটি হয়নি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এরই মাঝে আসরে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ফিফটি তুলে নেন নাজিমউদ্দিন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে ৫৪ রান।

এছাড়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট ১টি করে চার-ছয়ের মারে ২২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন দিলশান। এছাড়া ধামিকা প্রসাদ ২ ও রাসেল আর্নল্ডের ঝুলিতে যায় ১টি উইকেট।

এর আগে মূলত থারাঙ্গা ৪৭ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৯৯ রানের ইনিংসে ভর করেই ৬ উইকেটে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা লিজেন্ডস। রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে প্রথম জয় পেতে বাংলাদেশ লিজেন্ডসের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮১ রানের।

ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরি করতে ২ রান প্রয়োজন ছিল থারাঙ্গার। অফসাইডে খেলে দিয়ে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় রান নেয়ার প্রয়াসে রানআউট হন নুয়ান কুলাসেকারা। ফলে আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি হাতছাড়া হয় সদ্য অবসরপ্রাপ্ত থারাঙ্গা।

এর বাইরে ২৩ বলে ৩৩ রান করেন দলের অধিনায়ক ও ওপেনার তিলকারত্নে দিলশান। ২৪ বলে ২৪ রানে আউট হন চামারা সিলভা। সনাথ জয়সুরিয়ার ব্যাটিং কারিশমাও দেখা যায়নি। ১১ বলে ৪ রান করে আহত অবসরে যান এক সময়ের মাঠ কাঁপানো এই ওপেনার।

বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শরীফ, রাজিন সালেহ আর মোহাম্মদ রফিক। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বোলিং করেছেন রফিক। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। রাজিন ৪ ওভারে ৪৮ আর শরীফ ৪ ওভারে দেন ৩০ রান।

Related Posts

About The Author

Add Comment