মইয়ে উঠে আইনমন্ত্রী নিজেই পরিদর্শন করলেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ ।
সম্প্রতি আখাউড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলামকে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তারকে অন্যত্র বদলি করা হয়।
২৭ মে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা রাজাপু্রে নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পে মইয়ে উঠে আইনমন্ত্রী নিজেই পরিদর্শন করলেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ ও ঘরের দেয়ালের ঢালাইয়ের মান খতিয়ে দেখেন। পরিদর্শনের সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কোথায় কী পরিমাণ নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে, তার বর্ণনা দেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর পরিদর্শন শেষে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন – যাঁদের জড়িত দেখা গেছে, যাঁরা জড়িত আছেন এবং আরও যদি কেউ জড়িত থাকে অথবা এই আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে যদি কেউ দুর্নীতি করে থাকেন, সেটা বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থানেওয়া হবে।
আইনমন্ত্রীর আনিসুল হক এর পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মাসুদ উদ আলম প্রমুখ এবংকসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা যায় , আখাউড়া উপজেলা এসি ল্যান্ড সাইফুল ইসলাম ও ইউএনও রুমানা আক্তার সহ চারজনের বিরুদ্ধে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম আখাউড়া উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে । নিয়ম অনুযায়ী রড না দেওয়াসহ অন্যান্য অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৮৮টি ঘরের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি । পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলামকে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ও ইউএনও রুমানা আক্তারকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় বদলি করা হয়।