এ অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একাধিকবার কাজ বন্ধ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এনিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপকারভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আখাউড়া পৌর এলাকায় ৭০৫টি টয়লেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রত্যেক টয়লেটের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ৩০০ টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫০টি মতো টয়লেট নির্মাণ শেষ হয়েছে। টয়লেটের পাশাপাশি একটি মোটর ও ৩০০ লিটারের একটি পানির ট্যাংকি থাকছে এতে। একাধিক ঠিকাদারের মাধ্যমে এ কাজ করানো হচ্ছে।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চার ফুট দৈর্ঘ্য ও পাঁচফুট প্রস্থের (বাহিরসহ) এসব টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে। উচ্চতা সাড়ে ছয়ফুট। তবে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কম হওয়া শৌচের কাজ সারতে সমস্যা হয় বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া কম ওয়াটের মোটর দেওয়ায় পানি উঠাতেও সমস্যা হচ্ছে।
পৌর এলাকার তারাগণ গ্রামে গিয়ে বেশ কিছু বাড়িতে টয়লেট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। বেশিরভাগ উপকারভোগী অভিযোগ করেছেন ইটের মান একেবারেই নিম্নমানের। এছাড়া ভিটিবালু ব্যবহার করা হচ্ছে গাঁথুনি ও পলেস্তরার কাজে। ছাদের রড ব্যবহার নিয়েও অনেকের অভিযোগ রয়েছে।
ওই গ্রামের রাব্বি খান বলেন, আমার বাড়িতেও একটি টয়লেট নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের এলাকায় নির্মাণাধীন সব টয়লেট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আছে।
বেদন মিয়া নামের আরেকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টয়লেট নির্মাণে সব দুই নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়েছে। একটির সঙ্গে আরেকটি হালকা বাড়ি দিলেই ভেঙে গুড়া হয়ে যায়। এসব ইটের লাগাতেও সিমেন্ট ও বালি নামে মাত্র দেওয়া হয়েছে। ছাদের রড দেওয়া চিকন তারের মত।
টয়লেট নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারদের একজন সাইফুল ইসলাম সেন্টু। তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য অফিস থেকে আমাকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। ইটভাটা থেকে কিছু নিম্নমানের ইট দেওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। এসব ইট টয়লেট নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হবে না।
জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানার বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ চলবে না। এর আগেও একই অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলে ঠিকাদাররা ভালো ইট ব্যবহার শুরু করেন। ভালো ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ করতে হবে।