ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সুমাইয়া আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূ একই সঙ্গে তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ৩১ মে সোমবার সকালে জেলা শহরের টেংকেরপাড়ের স্ট্যান্ডার্ড হাসপাতাল অব টোটাল হেলথ কেয়ারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি তিনটি সন্তান জন্ম দেন।
সুমাইয়া বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের আলামিন ভূঁইয়ার স্ত্রী।
গৃহবধূ সুমাইয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী আলামিন ভূঁইয়ার সঙ্গে প্রায় ১১ বছর আগে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় একটি কন্যাসন্তান এবং সাড়ে ছয় বছরের মাথায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আর একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সুমাইয়া। ১১ বছর পর ৩১ মে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি আরও ৩টি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। জন্ম নেওয়া প্রথম শিশুটির ওজন ২ দশমিক ২ কেজি, দ্বিতীয় শিশুর ১ দশমিক ৯ কেজি এবং তৃতীয় শিশুটির ২ কেজি।
সুমাইয়ার পারিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রসবব্যথা উঠলে ৩১ মে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সুমাইয়াকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। সকাল সাড়ে ১০টায় সুমাইয়ার অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার লুৎফা। এ সময় সুমাইয়া তিনটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন।
আলামিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘চার মাস অন্তঃসত্ত্বার সময় সুমাইয়ার প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। আলট্রাসনোগ্রাম করার পর চিকিৎসক তাঁর গর্ভে আরও তিন সন্তানের অস্তিত্ব খুঁজে পান। তখনই তিনটি কন্যাশিশুর বিষয়ে জানতে পারি। এরপর তাঁর পাঁচবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। অন্তঃসত্ত্বার ৯ মাসের বেশি সময় পার হলে ৩১ মে সকালে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। মা ও তিন কন্যাসন্তান সুস্থ আছে। আমি এতে অনেক খুশি।’
গাইনি চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার বলেন, সুমাইয়ার রক্তশূন্যতা ছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে তাঁর গর্ভে তিন শিশুসন্তান রয়েছে বলে নিশ্চিত হই। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি তিন কন্যাশিশুর জন্ম দেন। শিশুগুলোর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। খবর: প্রথম আলো