নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ সাইফুল আলম – আখাউড়া ডট কম
পঞ্চম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় সংঘর্ষের খবরে। সদর উপজেলায় বাসুদেব ইউনিয়নের দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আর এই খবর জেলার প্রতিটি কোনায় পৌঁছে গিয়েছে। মূলত এই ঘটনায় ১০ জন আহত হয়। শেষ পর্যন্ত দুই মেম্বার প্রার্থীকে আটক করা হয়েছে।
পঞ্চম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জের ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ টি ইউপি নির্বাচনের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ছিল এটি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বাসুদেব ইউনিয়নের দতাইশ্বার কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ জন আহতসহ দুই মেম্বার প্রার্থীকে আটক করা হয়েছে।
ভাতসালা গ্রামের মুরগ মার্কা বর্তমান মেম্বার বাবুল মিয়ার সমর্থকরা দতাইশ্বার গ্রামের ফুটবল মার্কা শাহিনের ভোটার সমর্থকদের একে অপরের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিতে চাইলে দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় লাঠিসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দতাইশ্বার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই মেম্বার প্রার্থীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, বাসুদেব ইউনিয়নের মোরগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বর্তমান মেম্বার বাবুল মিয়া ও ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহিন মিয়া।
স্থানীয়রা জানায়, বাসুদেব ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার বাবুল মিয়া ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. শাহিন মিয়ার সমর্থকেরা একে অপরকে জোরপূর্বক ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহানী সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপরে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই মেম্বার প্রার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোটগ্রহণ চলছে। আমরা চাই সুষ্ঠু ভোট যেন হয়। সেজন্য আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন।