সরাইলে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীরকে (৪২) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে উপজেলা সদরের প্রাতবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবীর চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত ৩ সেপ্টেম্বর সরাইল থানায় করা একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তিনি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। স্থানীয় লোকজন জানান, হুমায়ুন কবীর শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর সরাইল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমসহ (শিউলি আজাদ) আওয়ামী লীগের ৬৭ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ২০০–৩০০ জনকে।

এ মামলায় ৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে শিউলি আজাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় গুলিতে নিহত হন লিটন মিয়া (২৭)। তিনি সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামের মুজান মিয়ার ছেলে।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ২০২১ সালে লিটন মিয়া হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে হুমায়ুন কবীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Related Posts

About The Author