![](https://akhaura.com/wp-content/uploads/2024/01/bijoynagar-upazila-1024x569.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিপণিবিতান তৈরির জন্য প্রায় চল্লিশ বছরের পুরোনো পুকুর ভরাট করছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুকুরের ভরাটকাজ বন্ধ হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে পুকুরের মাটি অপসারণ শুরু করেছে ভরাটকাজে জড়িত ব্যক্তিরা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি সরানোর কাজ শুরু করেন ভরাটের সঙ্গে জড়িতরা। মাটি অপসারণ করে পুকুরের দক্ষিণ পাশে একটি স মিলে নিয়ে রাখা হয়। তবে পুকুরের ভরাট করা অংশের সম্পূর্ণ মাটি এখনো সরানো হয়নি।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান খান জানান, ‘অভিযোগ আসার পর মাটি অপসারণ করার জন্য তাঁদের নির্দেশনা দিয়েছি। তাঁরা নিজেরাই মাটি অপসারণ করছেন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগরের ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর মোড়ে রাস্তাসংলগ্ন পুকুরটি ৪০-৫০ বছরের পুরোনো। পুকুরের পূর্ব দিকের বাসিন্দা জলফু মিয়া তাঁর ভাইসহ আর কয়েকজন পুকুরটির ৭২ শতাংশের মালিক। পুকুরটি ভরাট করতে পানি সরানো হয় সাড়ে তিন মাস আগে । এরপর তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি এনে ভরাটের কাজ শুরু করেন। জানা গিয়েছে পুকুরটি ভরাট করে সেখানে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হবে।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী ও খাল ভরাট করা বেআইনি। প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কেউ এই বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।’