ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার হাওড়া নদীর গঙ্গাসাগর পয়েন্টে পানির সীমা ছিল ৫ দশমিক ৫৮ মিটার। বর্তমানে পানির সীমা ৫ দশমিক ৫৪ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচে।
জানা গেছে, আখাউড়ার মোট ৪৭টি গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ, ১৪ কিলোমিটার রাস্তা, ১০টি সেতু পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি কমতে শুরু করায় ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গত বুধবার সকাল থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাত্রী পারাপার বন্ধ আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আখাউড়ার হাওড়া নদীর গঙ্গাসাগরে গত ১২ ঘণ্টায় পানি ৪ সেন্টিমিটার ও ২৪ ঘণ্টায় ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বৃষ্টির সঙ্গে আখাউড়ার বন্যা পরিস্থিতি নির্ভর করে। আগরতলায় বৃষ্টি হলে পানি বাড়বে এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।
ওমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক মিয়া বলেন, তিন দিন ধরে তাঁরা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। কবে বিদ্যুৎ আসবে, জানেন না। তবে পানি কমতে শুরু করেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী বলেন, উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। আজকে অনেক পরিবার নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভিন বলেন, উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। চারটি আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ কিলোমিটার সড়ক ও ১০টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুকনা খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। কারও পানির সংকট নেই। কারণ, কোনো নলকূপ পানিতে তলিয়ে যায়নি।