আখাউড়া স্থলবন্দরে ২৫ লাখ টাকার চিংড়ি আটক

আখাউড়া প্রতিনিধি, নতুন বার্তা ডটকম. Sun, 31 Mar, 2013 04:39:10 PM

আখাউড়া স্থলবন্দরে ২৫ লাখ টাকার চিংড়ি আটক

 

 

 

 

 

আখাউড়া স্থবন্দরে মাছ রফতানি বাণিজ্যে শনিবার রাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়েছে। ছোট মাছ রফতানির আড়ালে প্রতিদিন গাড়িভর্তি বড় মাছ ও চিংড়ি ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

কাস্টমস ছাড়পত্রের পর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিজিবি সদস্যরা প্রায় ২৫ লাখ টাকার গাড়িবোঝায় রফতানি নিষিদ্ধ চিংড়িসহ একজনকে আটক করেছে। অবৈধ অর্থের দফারফায় কাস্টমস ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজশে এই অপকর্ম হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বন্দর কাস্টমস ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, আনরাজ ফিশ প্রতিষ্ঠানের একটি মিনি ট্রাকবোঝাই ছোট মাছের ছাড়পত্র নিয়ে অন্তরালয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান মাছ নিয়ে বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশকালে বিজিবি সদস্যরা গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে রফতানি নিষিদ্ধ গলদা চিংড়ি পায়।
বিজিবি সদস্যরা আটক গাড়ি ও ২৭৫ কেজি গলদা চিংড়ি কাস্টমসে জমা করে চালক আহাম্মদ আলীকে (৫০) থানায় সোপর্দ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ছোট মাছ রফতানির অনুমোদন থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন বড় জাতের মাছ রুই, কাতলা, চিংড়ি, ইলিশ ইত্যাদি গাড়িবোঝাই করে প্রকাশ্যে বিনাবাধায় স্থলবন্দর দিয়ে সরাসরি ভারতে পাচার হচ্ছে।
কাস্টমসের যোগসাজশে অন্তরালয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাধারণ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। অবৈধ টাকার দফারফায় অনেকে ব্যবসায়ী কোটিপতি বনে গেছেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত মাছের টাকা ভারত থেকে হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমসের নাকের ডগা দিয়ে স্থলবন্দরের বৈধ পথে অবৈধ মাছ গেলেও কাস্টমস রহস্যজনক কারণে এই ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার শহিদুল ইসলাম জানান, লোকবলের অভাবে অনেক সময় গাড়িতে মাছের জাত দেখা সম্ভব হয় না। অনুমোদন না থাকায় বিজিবি সদস্যরা মাছ আটক করেছে। আমরা তা নিলাম দিয়েছি।
১২ ব্যটালিয়ন বিজিবি উপ-অধিনায়ক মেজর শাহজাহান (জি) সাংবাদিকদের জানান, কাস্টমস ছাড়পত্র নিয়ে অনুমোদনহীন ২৭৫ কেজি গলদা চিংড়ি ভারতে প্রবেশকালে বিজিবি আটক করেছে। গাড়ি ও চালককেও আটক করা হয়েছে।
অন্তরালয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মালিক হোসেন আহাম্মদ জানান, কাস্টমস থেকে ঘোষণা না থাকায় মাছগুলো আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। তিনি এই অবৈধ ব্যবসায় জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।

আখাউড়া প্রতিনিধি, নতুন বার্তা ডটকম. Sun, 31 Mar, 2013 04:39:10 PM

আখাউড়া স্থলবন্দরে ২৫ লাখ টাকার চিংড়ি আটক

 

 

 

 

 

আখাউড়া স্থবন্দরে মাছ রফতানি বাণিজ্যে শনিবার রাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়েছে। ছোট মাছ রফতানির আড়ালে প্রতিদিন গাড়িভর্তি বড় মাছ ও চিংড়ি ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

কাস্টমস ছাড়পত্রের পর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিজিবি সদস্যরা প্রায় ২৫ লাখ টাকার গাড়িবোঝায় রফতানি নিষিদ্ধ চিংড়িসহ একজনকে আটক করেছে। অবৈধ অর্থের দফারফায় কাস্টমস ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজশে এই অপকর্ম হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বন্দর কাস্টমস ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, আনরাজ ফিশ প্রতিষ্ঠানের একটি মিনি ট্রাকবোঝাই ছোট মাছের ছাড়পত্র নিয়ে অন্তরালয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান মাছ নিয়ে বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশকালে বিজিবি সদস্যরা গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে রফতানি নিষিদ্ধ গলদা চিংড়ি পায়।
বিজিবি সদস্যরা আটক গাড়ি ও ২৭৫ কেজি গলদা চিংড়ি কাস্টমসে জমা করে চালক আহাম্মদ আলীকে (৫০) থানায় সোপর্দ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ছোট মাছ রফতানির অনুমোদন থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন বড় জাতের মাছ রুই, কাতলা, চিংড়ি, ইলিশ ইত্যাদি গাড়িবোঝাই করে প্রকাশ্যে বিনাবাধায় স্থলবন্দর দিয়ে সরাসরি ভারতে পাচার হচ্ছে।
কাস্টমসের যোগসাজশে অন্তরালয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাধারণ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। অবৈধ টাকার দফারফায় অনেকে ব্যবসায়ী কোটিপতি বনে গেছেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত মাছের টাকা ভারত থেকে হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমসের নাকের ডগা দিয়ে স্থলবন্দরের বৈধ পথে অবৈধ মাছ গেলেও কাস্টমস রহস্যজনক কারণে এই ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার শহিদুল ইসলাম জানান, লোকবলের অভাবে অনেক সময় গাড়িতে মাছের জাত দেখা সম্ভব হয় না। অনুমোদন না থাকায় বিজিবি সদস্যরা মাছ আটক করেছে। আমরা তা নিলাম দিয়েছি।
১২ ব্যটালিয়ন বিজিবি উপ-অধিনায়ক মেজর শাহজাহান (জি) সাংবাদিকদের জানান, কাস্টমস ছাড়পত্র নিয়ে অনুমোদনহীন ২৭৫ কেজি গলদা চিংড়ি ভারতে প্রবেশকালে বিজিবি আটক করেছে। গাড়ি ও চালককেও আটক করা হয়েছে।
অন্তরালয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মালিক হোসেন আহাম্মদ জানান, কাস্টমস থেকে ঘোষণা না থাকায় মাছগুলো আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। তিনি এই অবৈধ ব্যবসায় জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।

Related Posts

About The Author

Add Comment