আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
প্রতিদিন শত শত যাত্রীর পদচারণায় মুখর আশুগঞ্জ রেলস্টেশন। মাসে গড়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা রাজস্ব দেয় এই স্টেশন। অথচ নেই স্টেশনমাস্টার, নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, নেই যাত্রীসেবা। একসময় ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত ছিল স্টেশনটি, এখন নামিয়ে আনা হয়েছে ‘ঘ’ শ্রেণিতে। এই অবমূল্যায়নের প্রতিবাদে প্ল্যাটফর্মেই রীতিমতো দাঁড়িয়েছেন মানুষ—চালু হয়েছে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি শেষে বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।‘ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ’ ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকেরা। বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি, যুবদল, জামায়াত, ছাত্রদল ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আশুগঞ্জের সচেতন নাগরিকেরা।বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী আশুগঞ্জ রেলস্টেশনকে ‘ঘ’ শ্রেণিতে অবনমিত করেন। এই সিদ্ধান্ত এলাকাবাসীর নিকট ছিল এক প্রকার অপমান। তাঁরা বলেন, এই স্টেশন থেকেই ট্রেনের টিকিট পেতে হয় দালাল বা কালোবাজারির মাধ্যমে। চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের মুঠোফোন ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়মিত।উল্লেখযোগ্য দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—রেলস্টেশনকে পুনরায় ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীতকরণ, স্টেশনমাস্টারের পদায়ন, টিকিট কালোবাজারি রোধ, ছিনতাই-চুরি প্রতিরোধে নিরাপত্তা জোরদার এবং স্টেশন এলাকায় একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি পুনঃস্থাপন।মানুষের দাবি স্পষ্ট—”আমরা শুধু ভাড়া দিই না, অধিকারও চাই!”
এই আহ্বানে উত্তাল হয়ে ওঠে আশুগঞ্জের রেলপথ।