গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন আখাউরার এক কিশোরী

গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন এক কিশোরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা। এতে সহযোগিতা করায় রবিন (২০) নামে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আখাউড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আটককৃত রবিন আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে। ধর্ষিতাকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা বুধবার কাউতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাসযোগে আখাউড়ার গাজীর বাজারে আসে। সন্ধ্যার দিকে সে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য অটোরিকশা খোঁজতে থাকে। এ সময় অটোরিকশা চালক রবিন আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে মেয়েটিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী উমেদপুরের জৈনক ব্যক্তির পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে ভয় দেখিয়ে স্থানীয় রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল আলীম মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (২৫), বীরচন্দ্রপুরের নুরান মিয়ার ছেলে ইয়ামিন মিয়া (২০), কালিকাপুরের সাত্তার মিয়ার ছেলে জুনাইদ জুনু (২২), নুরপুরের এলু মিয়ার ছেলে সুমন (২৫) ও অজ্ঞাত ব্যক্তি (৫০) কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। ধর্ষিতা কিশোরীর চিৎকারে সীমান্তে টহলরত আখাউড়া কোম্পানি সদরের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র জওয়ানরা তাকে উদ্ধার করে। ঘটনায় পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বিজিবি সদস্যরা গণধর্ষণের সহযোগিতাকারী রবিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া আখাউরা ডট কমকে বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশা চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে গণধর্ষণের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

 

Related Posts

About The Author

Add Comment