সড়কপথে ও ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপির নেতা-কর্মীরা

সড়কপথে ও ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপির নেতা-কর্মীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসমাবেশে ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী অংশ নেবেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নেতা-কর্মী ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। অন্যরাও যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গ্রেপ্তার ও হয়রানি এড়াতে গোপনেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা ব্যক্তি উদ্যোগে গণপরিবহন, মাইক্রোবাস ও ট্রেনে করে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেবেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে জেলার নেতারা গোপন বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। গত কয়েক দিনের তৎপরতায় তাঁদের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকে নিজ উদ্যোগে ইতিমধ্যে ঢাকায় রওনা হয়েছেন।

জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, সমাবেশে যাওয়ার সময় সড়কপথে পুলিশ হয়রানিসহ ঝামেলা করতে পারে। তাই গোপনেই তাঁরা ঢাকার দিকে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশের পর থেকে বিএনপির আর কোনো কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বাধা দিয়ে আটকে রাখতে পারবে না। যেকোনো মূল্যে নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে সভা-সমাবেশ করবেন।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল ঢাকায় যাওয়ার বিষয়ে তাঁরা জেলার নয়টি উপজেলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জানিয়েছেন। পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। সবাই নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। আজ দুপুর থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় যাওয়া শুরু হয়েছে। আজ রাতে ও কাল সকালের ট্রেনে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাবেন।

ঢাকায় যাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপির নেতা-কর্মীরা

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সদর উপজেলা থেকে অন্তত তিন হাজার নেতা-কর্মী সড়কপথে বাস ও মাইক্রোবাসে এবং ট্রেনে ঢাকায় যাবেন। তিনি বলেন, পুলিশ নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তারের আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে লাভ হবে না।

সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলাকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় পৌঁছেছি। জেলার প্রতিটি নেতা-কর্মীদের ঢাকায় নিজ নিজ উদ্যোগে পৌঁছানো আহ্বান জানানো হয়েছে। নেতা-কর্মীরা গোপনে তাঁদের মতো করে ঢাকায় পৌঁছাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমার অধিকাংশ নেতা-কর্মী ইতিমধ্যে নিজের মতো করে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। অন্যরা আজ রাত ও কাল সকালের মধ্যে পৌঁছে যাবেন।’

আরও পড়ুন

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঢাকার পথে আছি। আমরা জেলা থেকে ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। যাওয়ার সময় স্টেশনে পুলিশের নজরদারি ও টহল চোখে পড়েছে। তারা গ্রেপ্তারের আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তবে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় পৌঁছাবে।’

Related Posts

About The Author

Add Comment