ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনসহ আশপাশের ৫০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী অবস্থায় আছে ৩০০ পরিবার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী বীরচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
মারা যাওয়া সুবর্ণা আক্তার (১৯) বীরচন্দ্রপুর গ্রামের পারভেজ মিয়ার স্ত্রী। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান ও আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন সুবর্ণার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়।
ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরেছবি: সংগৃহীত
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত আখাউড়া উপজেলায় ভারী বর্ষণ হয়। আজ সকাল থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আখাউড়ায় আসতে শুরু করে। এতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট, আখাউড়া স্থলবন্দরসহ আশপাশের এলাকার ৩৪টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকলে উপজেলার গাজিরবাজার এলাকায় থাকা অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। এতে আখাউড়া স্থলবন্দরে যাওয়ার রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সকাল ১০টার পর থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপারও বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন
স্থানীয় লোকজন জানান, বীরচন্দ্রপুর গ্রামে ঢলের পানি সুবর্ণা আক্তারের বসতঘরে ঢুকে পড়ে। তখন সুবর্ণা তাড়াহুড়া করে বসতঘর থেকে সরতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে নিচে পড়ে পানিতে ডুবে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, পানি বাড়ার কারণে বসতঘর থেকে অন্যত্র যেতে চেয়েছিলেন ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী। কিন্তু পানিতে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বলেন, সকালে তীব্র বেগে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি ওঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো স্থলবন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।