পৌর শহরসহ উপজেলার সবকটি মার্কেটে কেনাকাটার যেন হিড়িক পড়েছে। তৈরি পোষাকের দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণী ও শিশুদের পোষাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে। সবার পছন্দের তালিকায় পাঞ্জাবি, শেরওয়ানী, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট ও ফতোয়া থাকলেও তরুণীদের প্রথম পছন্দ ভারতের কিরণমালা, ফুলটাস, বিন্দাস, পাখী ও লেহেঙ্গা।
পৌরশহরের সড়ক বাজারের আলী মার্কেটের তৈরি পোষাক ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বেশির ভাগ তরুণীদের পছন্দ ভারতের কিরণমালা। চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই ঈদে আমি ২৫ লাখ টাকার ভারতীয় কিরণমালা পোষাক তুলেছি। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। একই মার্কেটের তৈরি পোষাক ব্যবসায়ী রাজন মিয়া জানান, এবারের ঈদের বাজারে ভারতীয় পোষাকের আধিপত্য অনেক বেশি। এসবের মধ্যে কিরণমালা শীর্ষে। তবে দেশীয় সুতি কাপড়ের তৈরি পোষাকও বিক্রি হচ্ছে।
সড়ক বাজারের সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হাবীব বাংলানিউজকে জানান, তুলনামূলক দাম একটু বেশি হলেও সবাই কিরণমালার দিকেই ঝুকছে। প্রতিটি পোষাক ১২শ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী আমার দোকানে সবধরণের পোষাক থাকলেও মেয়েরা কিরণমালা ও ফুলটাস হাতে নিচ্ছে বেশি।
ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে আসা উপজেলার টানমান্দাইল গ্রামের গৃহিণী আফরোজা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ছেলেদের জন্য জিন্স প্যান্ট ও টি-শার্ট আর একমাত্র মেয়ের জন্য ৩৫০০ টাকা দিয়ে একটি কিরণমালা জামা কিনেছি।
পৌরশহরের খরমপুর গ্রামের স্বপ্না আক্তার বাংলানিউজ বলেন, রোজার শুরু থেকেই আমার মেয়ে বায়না ধরে ছিল কিরণমালা জামার জন্য। মেয়ের কথায় গা না ভাসিয়ে তাকে বুঝিয়ে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে সুতি কাপড়ের থ্রি-পিস কিনে দিয়েছি।
আখাউড়া সড়ক বাজারের ব্যবসায়ী নেতা মুসলেহ উদ্দিন ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ভারতীয় স্টার জলসাসহ বিভিন্ন বাংলা চ্যালেনের কল্যাণে এসব পোষাক এদেশে জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে। তবে আশার বিষয় সাধারণ মানুষ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘরে দেশীয় পোষাক কিনছেন।