ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ছুরিকাঘাতে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে কসবা পৌরসভার কালিকাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক নিহত গৃহবধূর স্বামী।
নিহত গৃহবধূর নাম মেঘলা আক্তার (১৯)। তিনি সৌদি আরব থেকে সদ্য ফেরত নাঈম মিয়ার (২৪) স্ত্রী এবং কসবা পৌর শহরের কালিকাপুর এলাকার আলমগীর মিয়ার মেয়ে।
মেঘলার বাবা আলমগীর মিয়া বলেন, দুই বছর আগে নোয়াখালীর সুধারামপুর এলাকার নাঈম মিয়ার সঙ্গে তাঁর মেয়ে মেঘলার বিয়ে হয়। মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চার মাস পরই তাঁর স্বামী বিদেশ চলে যান। মেয়েটি কালিকাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় তাঁর বাড়িতেই থাকতেন। তিন দিন আগে হঠাৎ সৌদি থেকে মেঘলার স্বামী নাঈম মিয়া তাঁর বাড়িতে আসেন। আজ ছোট দুই মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরই মধ্যে বাড়িতে মেঘলা ও নাঈমের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে নাঈম ক্ষুব্ধ হয়ে মেঘলাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে মেঘলা মারা যান। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।
ঘটনার পর থেকে নাঈম মিয়া পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় মেঘলার বাবা আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে নাঈম মিয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ মেঘলা আক্তার খুন হয়েছেন। খুনে ব্যবহার করা ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি নাঈম মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।