নিজস্ব প্রতিবেদক, এস এম শাহনূর – আখাউড়া ডট কম
আজ ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হল। শহরের দক্ষিণ মোড়াইলের পুরাতন কাচারি অফিস ভবন চত্বরে উদ্বোধন করা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাদুঘর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাদুঘর শিরোনামে নামফল উন্মোচন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক জনাব হায়াত উদ দৌলা খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এডিসি জেনারেল-মো.রুহুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আল মামুন সরকার, উদীচীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি ও লোকজ সংস্কৃতির লেখক ও গবেষক জহিরুল ইসলাম চৌধুরি স্বপন, কবি জয়দুল হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি-রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন সহ বহু সুধিজন ও সাংস্কৃতিক কর্মী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালা করেন-ওসমান গণি সজিব।
এ জাদুঘর নির্মাণে জেলার মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস- সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুযোগ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক জনাব হায়াত উদ দৌলা খানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কিছু উদ্যমী মানুষের সার্বিক সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করেছেন। জনাব ফেরদৌস রহমান, জনাব ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া সহ জেলার সংস্কৃতি বান্ধব কিছু কর্মী শুরু থেকেই এ কাজের সাথে জড়িয়ে আছেন। একজন সংস্কৃতি কর্মী হিসাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে নিজেকে আজ গৌরবান্বিত মনে করছি।
যে কোন জাদুঘরে রক্ষিত হয় প্রাচীন নিদর্শন, স্বনামধন্য ও অভিজাত পরিবারে ব্যবহৃত নানান উপকরণ। এগুলো দেশ ও জাতির সম্পদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ডকুমেন্টস, যুদ্ধের নিদর্শন, লোকজ উপাদান, ইতিহাসধর্মী নিদর্শন, বাদ্যযন্ত্র, পুরাতন মূল্যবান ডায়রি, ডানব্রুক, জেমস রেনেলের ম্যাপ, জেলা-সংক্রান্ত পুস্তক, জেলার মনীষী, বিখ্যাত লেখক, কবি, বাউলদের ছবি, চিত্রকর্ম, তিতাস, বিজনা ও মেঘনা নদীর নিসর্গ নিয়ে আঁকা ছবি, আলোকচিত্র, প্রাচীন পোস্টকার্ড, বিখ্যাত লোকদের চিঠি, ইতিহাসধর্মী বইসহ অনেক মূল্যবান জিনিস ইতোমধ্যেই সংরক্ষিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের মেলবন্ধন সারাদেশে মডেল, জেলা প্রশাসক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাদুঘরের প্রধান সমন্বয়ক ও লোক সংস্কৃতির গবেষক জনাব জহিরুল ইসলাম স্বপন জেলাবাসীকে জাদুঘর পরিদর্শনের আহবান জানিয়েছেন। এ সময় ঘরে রক্ষিত ইতিহাস ঐতিহ্য নির্ভর জিনিসপত্র জাদুঘরে দান করার উদাত্ত আহ্বান জানান। এতে দাতার নাম, উপকরণ ব্যবহারকারীর নাম, শিল্পীর নাম, সংগ্রাহকের নাম লিপিবদ্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।