কেয়ারটেকার নয়, শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচন করতে চায় না, তারা পূর্বাভিজ্ঞতার মতো পেছনের দরজা দিয়ে অন্য কারও সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীন নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট আর হবে না। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে বলেছেন, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট সম্পূর্ণ অবৈধ। আইন পাস করে সংবিধান থেকে এটা বের করে দিয়েছেন, সেখানে আর ফিরে যাওয়া যাবে না।’

আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়ার বাড়িতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের ভালো চায় না। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশ চালিয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার হত্যার যাতে বিচার না হয়, সে জন্য আইন করেছে। জাতির পিতা ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে কারও সঙ্গে আঁতাত-আপস না করে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। তারা সবাই মিলে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। এখন তারা চেষ্টা করছে যাতে বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার। তিনি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বড় বড় শত্রুর মোকাবিলা করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’

আরও পড়ুন

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, বাংলাদেশ নৈরাজ্যের দেশ হয়ে যাবে। আমরা ওই অবস্থায় আর ফিরে যাব না। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও উন্নত–সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।’ এ সময় তিনি বলেন, গতকাল আখাউড়া-লাকসাম রেলের ডাবল লাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। এখন পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেনে যাতায়াত করা যায়।

খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর হেলালের সঞ্চালনে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ।

Related Posts

About The Author

Add Comment