একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের জন্য দোয়া-মোনাজাত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই নেতারা প্রথমে রাজধানীর রায়েরবাজারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কবরস্থানে গিয়ে দোয়া-মোনাজাত করেন। এরপর তাঁরা রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মুহা. মহিউদ্দীন খানসহ এই প্যানেলের অন্য জয়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কবরস্থানে দোয়া ও মোনাজাত শেষে আবু সাদিক কায়েম বলেন, শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণ করাই তাঁদের মূল কাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁরা সেটি শুরু করতে চান। এখানেই জুলাই বিপ্লব শুরু হয়। আর সফলতার সঙ্গে তাঁরা তা শেষ করেন। মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাসহ সবার কাছে তাঁরা দোয়া চান। শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় তাঁদের প্রশ্ন করতে পারবেন। তাঁদের কাজ হচ্ছে কাজ করা।
ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি বলেন, ‘শহীদরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। তাঁরা আমাদের রাস্তা দেখিয়েছে। শহীদদের আমানত—বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। সেই স্পিরিট পুনর্জাগরণে আমরা শহীদদের কবর জিয়ারত করতে এসেছি। আমরা সব শহীদ পরিবারে যাওয়ার চেষ্টা করব। ফোনেও কথা বলার চেষ্টা করেছি। জুলাইয়ে শহীদদের পরিবারই আমাদের পরিবার।’
নবনির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আজকে তাঁরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই শহীদদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তাঁদের প্যানেলের বিজয়-পরবর্তী কাজগুলো শুরু করছেন। এরপর তাঁরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে নির্বাচিত হিসেবে তাঁরা সবার সঙ্গেই কথা বলবেন। তাঁরা তাঁদের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের শহীদদের জন্য দোয়া করার মাধ্যমে কাজটি শুরু করেছেন।
এস এম ফরহাদ বলেন, ‘শহীদদের আত্মত্যাগের যে আমানত আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, সুন্দর ক্যাম্পাস গড়ার জন্য, তাঁদের আত্মত্যাগের মূল্য যাতে আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে দিতে পারি। শিক্ষার্থীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা সেটি যাতে জারি রাখতে পারি।’
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। নির্বাচনে তাদের প্যানেলের নাম ছিল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের প্রার্থীরা ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছেন