বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিদেশ থেকে যেসব ঋণ নিয়েছেন, সেই তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটাবেজে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এসব ঋণের মান, কোন দেশ থেকে ও কোন মুদ্রায় ঋণ এবং অনুমোদনকারী কে—এসবের তথ্যও জমা দিতে বলা হয়েছে। নভেম্বর থেকে প্রতি মাসে আগের মাসের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশ দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের (সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটসহ) ঝুঁকি মোকাবিলা, জবাবদিহি বৃদ্ধি ও দেশের আর্থিক খাতের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি ঋণ সমন্বয় হলে বা নতুন ঋণ হলে কিংবা কোনো কারণে ঋণের মান পরিবর্তন হলে তাৎক্ষণিক সিআইবিতে হালনাগাদ করতে হবে। কোনো ভুল তথ্য দিলে জরিমানা দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
বর্তমানে সিআইবি ডেটাবেজে বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণের কোনো তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে না। তবে সিআইবিতে ব্যাংকঋণের সব ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ নিতে গেলে তার সিআইবি যাচাই করে নেয় ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। তিন মাস আগে যা ছিল ১৯ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। তবে সরকারি খাতে ঋণ বেড়ে হয়েছে ৯২ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। তিন মাস আগে যা ছিল ৮৪ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার।


 
                                 
                                 
                                