বিশেষজ্ঞদের মতে মাংকিপক্স থেকে ঝুঁকিমুক্ত নয় বাংলাদেশও ।
মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল জুনোসিস (প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত একটি ভাইরাস) যার লক্ষণগুলি অতীতে গুটিবসন্তের রোগীদের মধ্যে দেখা যায় এমন লক্ষণগুলির মতো, যদিও এটি চিকিৎসাগতভাবে কম গুরুত। ১৯৮০ সালে গুটিবসন্ত নির্মূল এবং পরবর্তীতে গুটিবসন্তের টিকা বন্ধ করার সাথে সাথে, মাঙ্কিপক্স জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থোপক্স ভাইরাস হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। মাঙ্কিপক্স প্রাথমিকভাবে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় দেখা যায়, প্রায়শই গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্টের কাছাকাছি থাকে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে শহুরে এলাকায় দেখা যাচ্ছ। প্রাণী হোস্টের মধ্যে ইঁদুর এবং অ-মানব প্রাইমেট রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে আবার নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে মাংকিপক্স নামে । মহামারি কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই আবার এই নতুন সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ইউরোপ, আফ্রিকা এবং আমেরিকা সহ বিশ্বের ১২টি দেশে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে মাংকিপক্স।
তাই স্বাস্থ্য বিভাগের জোরদার নির্দেশনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পারাপার হওয়া সকল যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন জানায় যে , মাংকিপক্স থেকে ঝুঁকিমুক্ত নয় বাংলাদেশও । তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি পাওয়ার পর ২২ মে,রবিবার বিকেলে চেকপোস্টে হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সতর্কতা জারি শুরু হয়। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক মাংকিপক্স রোগী সনাক্ত হলে তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআর এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা তে পাঠানো হবে বলে জানা যায় ।