আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
সোমবার রায় ঘোষণার পরপরই উপস্থিত শিক্ষার্থী-জনতা মিষ্টি বিতরণ করেন এবং বিকেল তিনটার দিকে মেট্রো স্টেশনের পাদদেশ থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডাকসু’র প্রতিনিধিসহ উপস্থিত ছাত্রনেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উপস্থিত ছাত্রজনতা এই রায়কে “বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার জন্য নতুন দৃষ্টান্ত” বলে অভিহিত করেন। তারা বলেন- বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি দীর্ঘ সময় ধরে চলমান ছিল, এই রায় তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের মুহূর্ত।
তারা বলেন, বহু বছর ধরে সংঘটিত বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা-গুমসহ গুরুতর অভিযোগের বিচার নিয়ে মানুষের মনে যে প্রশ্ন ছিল, ট্রাইব্যুনালের রায় সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন করেছে। তারা প্রসিকিউশন টিমের কঠোর পরিশ্রম ও সাক্ষীদের সাহসিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, “আমাদের সামনে এখন একটি নতুন পথ খুলে গেছে। রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে শিক্ষা, গবেষণা, প্রযুক্তি- সবক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ ভবিষ্যৎ নির্মাণের সুযোগ এসেছে। এই প্রজন্মই সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেবে।”
এসময় তিনি চিপ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এদিন সকাল থেকে মিছিল ও উচ্ছ্বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। টিএসসি এলাকায় জায়ান্ট স্ক্রিনে হাসিনার ফাঁশির রায় সরাসরি সম্প্রচার হয়।

