আলোচিত সিলেটের লেডি বাইকার রিয়া রায়কে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। নেপথ্যে রয়েছে তার মাদকের নেটওয়ার্ক। প্রাইভেটকার থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় রিয়া ও তার বয়ফ্রেন্ড ছামিরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পুলিশ ছামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। সোমবার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিলাসী জীবনযাপনের পাশাপাশি ছামি ও রিয়া মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। চতুর ছামি তার প্রেমিকা রিয়াকে বাঁচানোর জন্য পুলিশের সিগন্যালে না থেমে কিছুটা দূরে গিয়ে প্রাইভেটকার থামায়। পুলিশ গাড়ির কাছে যাওয়ার আগেই রিয়া পালিয়ে যায়। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা, মদ ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
মামলা দায়েরের পর থেকে লেডি বাইকার রিয়া লাপাত্তা রয়েছেন বলে জানান সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান।
গ্রেফতার আরমান ছামি নগরীর মিরাপাড়ার শামসুল ইসলামের ছেলে। আর রিয়া রায় নগরীর কুমারপাড়ার মন্দিরগলির ঝর্ণারপাড় এলাকার রামু রায়ের মেয়ে।
তিনি বলেন, রিয়া তার বয়ফ্রেন্ড আরমান ছামিকে নিয়ে সিলেট বিমানবন্দর এলাকায় যান। নীল রঙের একটি প্রাইভেটকার নিয়ে এদিক-সেদিক ঘোরার সময় পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের সিগন্যাল দেওয়া হয়। এসময় তারা সিগন্যাল না মেনে কিছু দূর গিয়ে গাড়ি থামান। তখন গাড়ি থেকে এক তরুণী দ্রুত নেমে যান। পরে গাড়ি তল্লাশি করে পানির বোতলে রাখা ৫০০ মিলিগ্রাম মদ, ইয়াবা ১০ পিস ও দুই পুড়িয়া গাজা পাওয়া যায়। আটক ছামি এসময় জানায়, গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়া তরুণী তার প্রেমিকা রিয়া রায়।